প্রবন্ধ

মুখবন্ধ: শিশিরের কারাগার

সাইফুল ইসলাম শিশির একসময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রনেতা—বিশেষ ‘সিনেট সদস্য’—পরিচয়ে প্রসিদ্ধ ছিলেন। তখন শুনিয়াছিলাম তিনি সদ্য কারামুক্ত হইয়াছেন। শিক্ষকমহলেও তাঁহার বেশ প্রতিপত্তি। তাঁহার ছাত্রসংগঠনের নাম ছিল ‘বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী’। শিশিরের সহিত আমার আলাপ-পরিচয় ঐ যুগেই। ১৯৮৩-৮৪ সালে আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিম্নমানের শিক্ষক ছিলাম। দীর্ঘদিন পর—চল্লিশ বছর তো হইবেই—আবার দেখা হইল তাঁহার সহিত। নিজের লেখা অনেকগুলি বই… Continue reading মুখবন্ধ: শিশিরের কারাগার

অনুবাদ · কবিতা

শার্ল বোদলেয়ারের পারির প্লীহা: ৪৩-৪৮

মুখবন্ধ     কিছুদিন হইল—কবির দুইশত বৎসরপূর্তি উপলক্ষে—আমি ‘পারির পিত্ত’ নামে শার্ল বোদলেয়ারের কিছু কবিতার তর্জমা প্রকাশ করিতেছি। এক্ষণে ‘পারির পিত্ত’ নামটি যথার্থ মনে হইতেছে না। তাই নতুন তর্জমা করিলাম: পারির প্লীহা। অন্যান্যের মধ্যে আমার বন্ধুবর জহিরুল ইসলাম এই পরামর্শ দিয়াছেন। তাঁহার শোকর এখানে গুজার করিতেছি। ইতিপূর্বে ‘সংবাদ প্রকাশ’ পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে গোটা তিরিশ কবিতা ছাপা হইয়াছে।… Continue reading শার্ল বোদলেয়ারের পারির প্লীহা: ৪৩-৪৮

বিষয় সলিমুল্লাহ খান

সলিমুল্লাহ খান: উজানে থাকা বুদ্ধিজীবী–বিধান রিবেরু

খালি চোখে আমরা যা দেখি সাধারণত, যা দৈনন্দিন অভিজ্ঞতায় ধরা দেয়, আর যাকে দেখি, তার অস্তিত্ব ভিন্ন বৈকি। ইম্মানুয়েল কান্টের ভাবনায় প্রথমটিকে ডাকা হয় ফেনোমেনন, অন্যটিকে ন্যুমেনন। সমাজে বিরাজমান ব্যক্তি, যাকে সকলে নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডে দেখে, তার কথা শোনে, সেই মানুষটি নগ্ন নয়নে যে রূপে ধরা দেন, তা-ই ফেনোমেনন বা চোখের দেখা। আর ব্যক্তি স্বয়ং,… Continue reading সলিমুল্লাহ খান: উজানে থাকা বুদ্ধিজীবী–বিধান রিবেরু